Electrical Job Preparation . Basic Question
Electrical short note
ইলেক্ট্রনিকস প্রশ্নমালা
১। সোল্ডারিং বলতে কি বোঝ? এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ কি কি ও এদের অনুপাত কত?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ধাতব পদার্থ সংযুক্ত বা একত্রিত করা হয় তাকে সোল্ডারিং বলে। এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ হচ্ছে সীসা ও টিন, এদের অনুপাত ৪০ঃ৬০।
২। সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয় কেন বা এর সুবিধা কি?
উত্তরঃ সংযোগস্থল ভালভাবে পরিষ্কার এবং মজবুত করার জন্য সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয়।
৩। রেজিস্টর কি? বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টরের নাম লিখ।
উত্তরঃ ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে বাথা দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে।
৪। কালার কোড পদ্ধতি কি? বিভিন্ন রং এর মান লিখ।
উত্তরঃ রেজিস্টরের গায়ের রং দেখে রেজিস্টরের মান নির্নয় করার পদ্ধতিকে কালার কোড পদ্ধতি বলে।
বিভিন্ন রং এর মানঃ কালো ০, বাদামী = ১, লাল = ২, কমলা = ৩, হলুদ = ৪, সবুজ = ৫, নীল = ৬, বেগুনী = ৭, ধূসর = ৮, সাদা = ৯, সোনালী = ৫%, রুপালী = ১০%, নো কালার = ২০%।
৫। রেজিস্টেন্স, ক্যাপাসিটেন্স ও কন্ডাকটেন্স বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ রেজিস্টেন্স: রেজিস্টর যে ধর্মের কারনে বাধা প্রদান করে সেই ধর্মকে রেজিস্টেন্স বলে।
ক্যাপাসিটেন্স: ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্টের কারনে চার্জ সঞ্চয় বা ধারন করে তাকে ক্যাপাসিটেন্স বলে।
কন্ডাকটেন্স: কন্ডাকটর যে বৈশিষ্টের কারনে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে তাকে কন্ডাকটেন্স বলে।
৬। টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।
৭। ইলেকট্রনিক্স কাজে কোন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স কাজে কার্বন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়।
৮। কন্ডাক্টর, সেমিকন্ডাক্টর ও ইনসুলেটর বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ ত্রিযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৩টি তাকে ত্রিযোজি মৌল বলে।
পঞ্চযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৫টি তাকে পঞ্চযোজি মৌল বলে।
১০। জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তরঃ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি তাপ সহ্য করতে পারে এবং সিলিকনের দাম কম।
১১। হোল, ইলেকট্রন ও ডোপিং বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ হোল: হোল বলতে এটমের মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি জনিত সৃষ্ট (+) ve চার্জের আধিক্যকে বুঝায়।
ইলেকট্রন: এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপূর্ণ কণিকা যা নেগেটিভ চার্জ বহন করে।
ডোপিং: খাঁটি সেমিকন্ডাকটরে ভেজাল মিশ্রিত করে এর পরিবাহীতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি বা কৌশলকে ডোপিং বলে।
১২। কো-ভ্যালেন্ট বন্ড ও ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কো-ভ্যালেন্ট বন্ড: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত থাকে সেই বন্ধনকে কো-ভ্যালেন্ড বন্ড বলে।
ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।
১৩। সেমিকন্ডাকটর কত প্রকার ও কি কি ? এদের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার। ১) খাঁটি সেমিকন্ডাকটর ২) ভেজাল সেমিকন্ডাকটর
খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর: ডোপিং এর পূর্বে বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাকটরকে খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর: ডোপিং এর পরে ভেজালযুক্ত সেমিকন্ডাকটরকে ভেজাল (Extrinsic) সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার: ১) পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ২) এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর
পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন: ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন: আর্সেনিক, এন্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
১৪। সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।
১৫। বায়াসিং বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরকে সচল করার জন্য বাহির থেকে যে ডি.সি সাপ্লাই দেয়া হয় তাকে বায়াসিং বলে।
বায়াসিং দুই প্রকার: ১) ফরোয়ার্ড বায়াসিং ২) রিভার্স বায়াসিং
ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির P প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং N প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির P প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং N প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।
১৬। লিকেজ কারেন্ট বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ মাইনোরিটি ক্যারিয়ারের জন্য পি-এন জাংশন ডায়োডে যে সামান্ন কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে লিকেজ কারেন্ট বলে।
১৭। নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-এন জাংশন ডায়োডে ফরোয়ার্ড ভোল্টেজের যে মানে ফরোয়ার্ড কারেন্ট বৃদ্ধি পায় তাকে নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ বলে।
১৮। ডিফিউশন ও ডিফিউশন কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ ডিফিউশন: জাংশন ভেদ করে হোল ও ইলেকট্রনের চলাচলের প্রবণতাকে ডিভিউশন বলে।
ডিফিউশন কারেন্ট: ডিভিউশন এর কারণে উচ্চ অঞ্চল থেকে নিু অঞ্চলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহকে ডিভিউশন কারেন্ট বলে।
১৯। ডিপ্লে¬শন লেয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-টাইপ ও এন-টাইপ এর সমন্বয়ে যে ইলেক্টিক ফিল্ড সৃষ্টি করে তাকে ডিপ্লে¬শন লেয়ার বলে।
২০। ডায়োডের লোড লাইন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ফরোয়ার্ড বৈশিষ্ট রেখার উপর ডায়োডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর সঠিক মান নির্নয় করা হয় তাকে ডায়োডের লোড লাইন বলে।
২১। কুইসেন্ট বিন্দু কাকে বলে?
উত্তরঃ ডায়োডের স্ট্যাটিক বৈশিষ্ট রেখা ও লোড লাইনের ছেদ বিন্দুকেই অপারেটিং বা কুইসেন্ট বিন্দু বলে। এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট লোড রেজিস্টেন্স যে কোন ডায়োডে কি পরিমাণ ভোল্টেজের জন্য কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ হচ্ছে তা জানতে পারি।
২৩। ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে পালসেটিং ডিসি কে খাঁটি ডিসি তে পরিণত করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।
ইহা পাঁচ প্রকারঃ ১) সান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার ২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার ৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার
২৪। রিপল ও পালসেটিং ডিসি কাকে বলে?
উত্তরঃ রিপল: রেক্টিফায়ারের আউটপুট একমুখী হলেও ইহা waveform আকৃতিতে থাকে অর্থাৎ এ আউটপুটে AC এবং DC উভয় ধরণের কম্পোনেন্ট বিদ্যমান থাকে।
পালসেটিং ডিসি: রেক্টিফায়ারের আউটপুটে যে ডিসি পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ খাঁটি ডিসি নয়, এতে কিছুটা এসির প্রবণতা বা বৈশিষ্ট থাকে, এসি যুক্ত এ ডিসিকে পালসেটিং ডিসি বলে।
২৫। জিনার ডায়োড কি? ইহা কোন রিজিয়নে কাজ করে?
উত্তরঃ অত্যাধিক পরিমাণে ডোপিংকৃত সিলিকন দ্বারা তৈরি পি.এন. জাংশন ডায়োড, যা রিভার্স বায়াস প্রয়োগে শার্প ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ প্রদর্শন করে তাকে জিনার ডায়োড বলে। ইহা ব্রেক ডাউন রিজিয়নে কাজ করে।
২৬। জিনার ডায়োডকে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ যদি কোন কারণে লোড কারেন্ট বাড়ে বা কমে তবে জিনার ডায়োড জিনার ক্রিয়ার মাধ্যমে তার কারেন্টকে সম পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে স্থির মানে রাখতে পারে বলে একে ভোল্টেজ ষ্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
২৭। ডায়াক ও ট্রায়াক এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ ট্রায়াকের ব্যবহার:
ডায়াকের ব্যবহার:
২৮। কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডায়োডের নাম লিখ।
২৯। ভ্যারাক্টর ডায়োড কি? ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি লিখ।
উত্তরঃ ভ্যারাক্টর ডায়োড: পরিমিত ভেজাল মিশ্রিত পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরী রিভার্স বায়াসে পরিচালিত, যার জাংশন ক্যাপাসিট্যান্স বায়াস পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় তাকে ভ্যারাক্টর ডায়োড বলে।
ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি: আউটপুট কারেন্ট এর সাথে ইনসিডেন্ট লাইট এর অনুপাতকে ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি বলা হয়। আউটপুট কারেন্ট ইনসিডেন্ট লাইটের সাথে সুষমভাবে পরিবর্তিত হয়।
৩০। সোলার সেল এর অপর নাম কি?
উত্তরঃ ফটো ভোল্টেইক সেল এবং এনার্জি কনভার্টার।
৩১। রেকটিফিকেশন কেন করা হয়?
উত্তরঃ এসিকে বা দ্বিমুখী কারেন্টকে একমুখী কারেন্টে রূপান্তর বা রেকটিফাই করার জন্য রেকটিফিকেশন করা হয়।
No comments
Post a Comment