AMIE (Associate Member Institute of Engineeers) in Bangladesh এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
এ.ম.আই.ই কোর্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
১.
সুনির্দিষ্ট কোন ক্লাস নাই থাকায় এএমআইই কমপ্লিট করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । সম্পূর্ণ ইংরেজি
মিডিয়াম এ পড়াশুনা, নতুন
জিনিস, নতুন পদ্ধতি, শিক্ষক ছাড়া, ক্লাস ছাড়া কমপ্লিট করাটা অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়।
২.
বিভিন্ন ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন জায়গায় কোচিং করে/প্রাইভেট পড়ে, তবে মানসম্মত শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব বিধায় প্রস্তুতি নেওয়া অগোছালো থেকে যায়, কোনমতে ৫০-৬০ মার্কের
প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষার হলে গিয়ে ২৫-৩৫ মার্কের
উত্তর করে আসতে বাধ্য হয়।
৩.
নির্দিষ্ট কোর্সের নির্ভুল ও মানসম্মত হ্যান্ডনোট/গাইড এর অভাব এএমআইই
কমপ্লিট না করতে পারার
একটি বড় কারন। একজন
চাকুরি জিবির পক্ষে নোট তৈরি করে পড়াশুনা করা যেমন অসম্ভব তেমনি ভাল হ্যান্ড নোট/ভাল গাইড বই ছাড়া এএমআইই
কমপ্লিট করা অনেক কঠিন ।
৪.
এএমআইই-এর সিলেবাস ভিত্তিক
লেখা বইয়ের অভাব এএমআইই কমপ্লিট না করতে পারার
অন্যতম বড় কারন। ভারতের
এএমআইই সিলেবাস এর ভিত্তি করে
লেখা বই বাংলাদেশের এএমআইই
শিক্ষার্থীরা পড়ে থাকে, তাতে ৪০-৫০ মার্কের
প্রশ্নের উত্তর করার মত সামর্থ্য তৈরি
হয়, যদি বাংলাদেশের এ এম আই
ই এর সিলেবাস অনুযায়ী
বই/গাইড বই থাকতো তাহলে
প্রশ্ন কমন পাওয়ার পরিমান তা বাড়ত। পাশের
হার এবং ভাল রেজাল্ট এর পরিমানটাও বাড়ত
বলেই আমার বিশ্বাস।
৫.
কার্যকরভাবে অন্যের সংগে ভাল্ভাবে যোগাযোগ করতে পারা সফলতার পূর্বশর্ত, কিন্তু এএমআইই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এর অভাব খুবই
প্রকট। যারা পাশ করে বের হয়ে যায়, তাদের সাথে তো যোগাযোগ করাটা
বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে চাঁদে যাবার মতই ব্যাপার !!! আর যারা এএমআইই
পড়ছেন, তাদের মধ্যে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে একটা অনিহা পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন থেকে কারো সম্পর্কে কোন তথ্য প্রাপ্তি সম্ভব হয়ে ওঠে না। যার ফলে, অতিত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের মধ্যে COMMUNICATION GAP রয়েই যায় যা এএমআইই কমপ্লিট
না করতে পারার আরেকটি বড় কারন বলে
আমি মনে করি।
৬.
এএমআইই কমপ্লিট না করতে পারার
অন্নতম প্রধান কারন, পরিকল্পনাহীন ভাবে পড়াশুনা করা। অধিকাংশ এএমআইই ছাত্রছাত্রীর –ই নিজের পড়াশুনা
নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাই । এএমআইই কমপ্লিট
করার জন্য ১৫ বছর সময়সীমা
থাকায় অনেকটা পরিকল্পনাহিনতা কাজ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে, কিছুটা গা ছাড়া ভাব
!!! যদি এমন হতো, নির্দিষ্ট সংখ্যক বিষয় নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা দিতে হবে, তাহলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিতভাবে পড়াশুনা করার মানসিকতা তৈরি হতো, যা এএমআইই কমপ্লিট
করার জন্য অপরিহার্য।
৭.
অধিকাংশ শিক্ষার্থী এএমআইই কমপ্লিট না করতে পারার
আরেকটি কারন হোল এএমআইই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা-টাকে সিরিয়াসলি না নিয়ে ঢিলেঢালা
ভাবে পড়াশুনা করা । পরীক্ষা দিতেই
হবে এমন “ন্যূনতম সাবজেক্ট সংখ্যা” নির্দিষ্ট নয় বলে আরামপ্রিয়
বাঙালি এএমআইই শিক্ষার্থীরা মেধা থাকা সত্ত্বেও পরিশ্রম করে না।
৮.
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিজের ভুল ভ্রান্তি সংশোধন এবং নিজের প্রস্তুতি যাচাই করার সুযোগ দেয়। কিন্তু অনুরুপ পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ না থাকায় অধিকাংশ
শিক্ষার্থী নিজের প্রস্তুতির অবস্থা যাচাই না করেই মূল
পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
সংসংক্ষেপে
বলা যায়, “সুপরিকল্পনার সাথে মানসম্মত গাইডবই বা টেক্সটবই অনুসরন
করে নিয়মিত ক্লাস ও অনুরুপ পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ, এএমআইই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা-টাকে সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়মিতভাবে পড়াশুনা-র মাধ্যমেই আপনি
অর্জন করতে পারেন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি”
সূত্রঃ Study in IEB
No comments
Post a Comment